এসো বসো আহারে

— চল আজ যা চাস্ তাই খাওয়াবো!
— যা চাইবো, তাই?
— ইয়ো ব্রো! হোয়াটেভার ইউ উইশ!
— তবে আমি স্টার্টার গিসেবে ম্যামথের হাড়ের মটমটি, মেইন ডিশ হিসেবে ইউনিকর্নের শিংয়ের ঝাল আর আরশোলার রেজালা, আর ডেসার্টে পেঙ্গুইনের পেচ্ছাবের স্মুদি খাবো!
— পকেটে হাত দে। টিকিটটা পেয়ে যাবি। হাওড়া পৌঁছে দিয়ে আসবো?
— আচ্ছা। নো জোক। নো মজাক। কিন্তু আমার ড্রিম ডিশ তো তুই খাওয়াতে পারবি না ভাই!
— কেন ভাই? কলকাতায় না পাওয়া গেলে অবশ্য কিস্যু করার নেই!
—আরে না না। পাওয়া যায়। কিন্তু আমি পাবো না। কী বল তো?
— কী? ল্যাম্ব? ফুড স্টেশনেই পেয়ে যাবি।
—ধ্যার।
— রেড ওয়াইন? ক্যাভিয়ার? স্যালমন?
সব পাবি ভাই! নো চাপ!
— আচ্ছা বলছি তবে।
— বল বাপ বল।
— সারা দুপুর ধরে চাঁদিতে খরখরে রোদ চাপিয়ে রাস্তায় গলিতে ঠেলায় করে বস্তা বস্তা মালের বোঝা ঠেলার পরে যখন ফাটা ভেন্টিলেটরওয়ালা গেঞ্জি পরে কালো, ঝাঁকড়াচুল, পেটরোগা লোকগুলো খেতে বসে, তখন তাদের মাথা-মুখ থেকে টপটপ করে ঘাম পড়ে তাদের ভাতের থালায় মিশে যায়। তাদের মতো কেবল পেঁয়াজ-লঙ্কা আর একথুপি লাবড়া দিয়ে মুখখানা থালার ওপর নামিয়ে একটানে থালার পর থালা ভাত খেয়ে যাবার পর সেই শান্তির ঢেকুরটুকু চাই।

দিতে পারবি?

1 thoughts on “এসো বসো আহারে

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান